"রক্তঝরা মার্চ"। এই কথাটির সাথে পরিচিত নয় এমনটি বলা
অস্বাভাবিক শোনাবে। কিন্তু কেন এই মার্চ মাসটি
রক্তঝরা? কারাইবা রক্ত দিয়েছিল? কেনোই বা দিয়েছিল?
এই প্রশ্নটি নিজের কাছেই? উপরের প্রত্যেকটি প্রশ্নই'চিন্তার' উদ্রেক করে। কিন্তু অপ্রিও
হলেও সত্য আজ "রক্তঝরা মার্চ" একটি
রেওয়াজ কে নয়। আর তার কারণ 'চিন্তা' নামক শক্তিশালী উপাদানটি আমাদের মাঝে অতিমাত্রায়
অনুপস্থিত। আমাদের উদ্দেশ্য নয় "রক্তঝরা মার্চ" এর ইতিহাস আলোচনা করা বরং
আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবতাকে তুলে ধরা।
"রক্তঝরা মার্চ"
বললেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে কিছু 'সংগ্রামী যুবকের মুষ্টিবদ্ধ উর্ধ্ববাহু বলিষ্ঠ নেতৃত্ব'।
কিন্তু পকৃতপক্ষে আজকের অধিকাংশ যুবক 'সংগ্রামী নেতৃত্বকে' ঘৃণা
করে। তারা FB Profile এ গর্ব করে লিখে I hate Politics. প্রশ্ন হল 'সংগ্রামী নেতৃত্ব'
কি একবারই জন্ম নিবে? অন্য সময় কি আমরা পরজীবী হয়ে যাবো? আজকের যুবকরা কি 'সংগ্রামী
নেতৃত্বের' প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে?
'না', ধরেনা, বরং তাদের
প্রতিচ্ছবির উৎকৃষ্ট নাম হতে পারে, 'একটি চিন্তাশূন্য কংকালসার অনুকরণপ্রিয় সত্ত্বা'
।
অনুকরণপ্রিয়তা আজ একটি অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে। 'অনুকরণ' নিজেই চিন্তাশূন্যতার
বৈশিষ্ট্য। আর এই বাক্যটি সংক্রামক আকারে দেখা দিয়েছে যুবকদের মধ্যে। আমরা যুবকেরা
অনুকরণ করাকেই অভ্যাসে পরিণত করেছি। এই রোগ থেকে মুক্তির একটাই উপাই, 'চিন্তা '।
চিন্তা বিশ্বাসকে পাকাপোক্ত করে। চিন্তা মতবাদ গঠনের সহায়ক। আর
মতবাদ মানুষের আচরণকে সুগঠিত করে। তাই চিন্তাশূন্য ব্যক্তির আচরণ সংশয়পূর্ণ।
চিন্তা শক্তিশালী উপাদান। আর তার বাহন যখন হয়, যুবসমাজ তখন তা হয়ে
উঠে অপরাজেয়। তাই যুবকের প্রতি আহ্বান-
পূণ:র্জাগরণের পথে একমাত্র বাধা চিন্তাশূন্যতা। চিন্তাশূন্য জাতি
সর্বদাই অন্যের দ্বারা শাসিত। অথচ আমাদের রয়েছে সর্বাপেক্ষা উন্নত চিন্তা ইতিহাস সাক্ষী। এত ক্ষুদ্রগোষ্টী চিন্তার জোরে উন্নত জাতিতে পরিণত
হয়েছে। তাই আমাদের চিন্তাশূন্যতাকে মেরে ফেলতে হবে। অনুকরণপ্রিয়তাকে মাটিচাপা দিতে
হবে। আর তাহলেই সত্যিকারের পূনর্জাগরণ হবে আলোকিত। আর আলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা প্রসারিত
হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন